শনিবার ৫ জুলাই ২০২৫ - ১৫:০৪
শত্রু এখনো ইরানি জাতিকে সঠিকভাবে চিনতে পারেনি

শত্রু ইরানি জাতির পরিচয় বুঝতে ভুল করেছে এবং এই ধারণা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর যে, আলোচনার সময় শত্রু হঠাৎ করে আক্রমণ চালিয়েছে।

হাওযা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ হাশেম হুসেইনি বুশেহরি পবিত্র কোম শহরে জুমার খুতবায় বলেন, শত্রু ইরানি জাতির পরিচয় বুঝতে ভুল করেছে এবং এই ধারণা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর যে, আলোচনার সময় শত্রু হঠাৎ করে আক্রমণ চালিয়েছে। এটি ছিল পূর্ব-পরিকল্পিত একটি ষড়যন্ত্র, যেখানে আমেরিকা ইরানকে আলোচনায় ব্যস্ত রেখে পেছন থেকে ইসরায়েলি শাসকদের আক্রমণের অনুমতি দিয়েছে।

তিনি কারবালার শিক্ষা ও আশুরার আন্দোলনের দর্শনের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আশুরা আমাদের শিখিয়েছে যে জয় সংখ্যা দিয়ে নয়, বরং সংকল্প ও ইচ্ছাশক্তির ওপর নির্ভর করে। একজন মুমিনকে যদি ইসলামের পথে নিজের জান-মাল উৎসর্গ করতে হয়, তবে দেরি করা উচিত নয়।

আয়াতুল্লাহ হুসেইনি বুশেহরি ১২ দিনের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই যুদ্ধ ছিল ইরানি জাতির ঐক্য ও প্রতিরোধের প্রতীক। ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা, সশস্ত্র বাহিনী ও সচেতন জনগণ – এই তিনটি প্রধান উপাদান শত্রুর ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেয়। নতুন সামরিক কমান্ডাররা সঙ্গে সঙ্গেই তেলআবিব ও হাইফায় পাল্টা হামলা চালিয়ে শত্রুকে বিস্মিত ও আতঙ্কিত করে তোলে।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমের ভূমিকাও ছিল অনন্য এবং “আল্লাহু আকবর” ধ্বনি শত্রুদের অন্তরে কাঁপন ধরিয়ে দেয়। এই যুদ্ধ ইরানি জাতিকে নতুন সম্মান ও গৌরব এনে দিয়েছে এবং বিশ্বকে বার্তা দিয়েছে যে, ইরানের ওপর যেকোনো আক্রমণের জবাব শক্তভাবে দেওয়া হবে।

কোমের ইমাম জুমা আরও বলেন, গ্রোসি প্রমুখ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা নিজেদের পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান স্পষ্ট করেছেন এবং ইহুদি রাষ্ট্রের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন। এই যুদ্ধ পরিষ্কারভাবে দেখিয়েছে, ইরানি জাতির শক্তিই শত্রুকে পিছু হঠাতে বাধ্য করে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, যুদ্ধবিরতি মানে শান্তি নয়, বরং এটি একটি সাময়িক বিরতি। এবং ইরানি জাতি প্রতিটি ময়দানে শত্রুর ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা চালিয়ে যাবে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha